# স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের
বাতাসের আদ্রতা বাড়ায় তীব্র ভ্যাপসা গরম অনুভুত হচ্ছে কক্সবাজারে। পুরো মাস জুড়েই কক্সবাজার মাঝারি ও মৃদু তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহওয়াবিদ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, গতকাল কক্সবাজারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা বিগত দুই সপ্তাহের চেয়ে অনেক কম। বাতাসের আদ্রতা বাড়ায় তীব্র গরম অনুভুত হচ্ছে। পুরো মাস জুড়েই মাঝারি ও মৃদু তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এছাড়া লোড শেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্থি পাচ্ছেন না কোন স্থানে। এতে হিট স্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এই ধারা পুরো বৈশাখ মাস ঝুড়ে অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, দক্ষিণ পূর্ব মৌসুমি বায়ু আসার সময় জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে। কিন্তু এবার বাতাসটা আসছে না সেভাবে। আর জলীয় বাষ্পও খুব কম। এতে বাতাসের আদ্রতা বেড়ে গেছে। যার ফলে শরীরে গরম বেশী অনুভুত হচ্ছে। গরমের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।
এদিকে তীব্র গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে শ্বাসকষ্ঠজনিত রোগ. চর্মরোগ, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগব্যাধী।
ডাঃ আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দিয়েছে তা মেনে চলাই উত্তম। এতে সর্তকতার বিকল্প নেই। দেখা দিতে পারে অনিদ্রা, অস্বস্থিবোধ, ফুসফুসে সমস্যা, পানিশূন্যতা ও মাংশপেশিতে ব্যথা। গরমে অহেতুক বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রচুর পানি ও স্যালাইন পান ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার বর্জন করতে হবে। সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহন করতে হবে। এছাড়া ডায়েরীয়া হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে।
অপরদিকে সরকার হিটএলার্ট জারি করলেও তা মেনে চলতে পারছেন না শ্রমজীবি মানুষ। পেটের তাগিদে তীব্র গরমের মধ্যেও কাজে নেমে পড়তে হচ্ছে।
শহরের বাজার ঘাটায় ফুটপাতে পণ্য বিক্রেতা শামসুল আলম বলেন , সরকার হিট এলার্ট জারি করলেও তা মেনে চলতে পারছি না। রাস্তায় ভ্রাম্যমান দোকান করেই সংসার চালাই। একদিন ব্যবসা না করলে খাবকি। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।